ধান, গম, ডাল এসব ফসল। ফসল থেকে মানুষের খাবার তৈরি হয়।
ইঁদুর ফসল নষ্ট করে। চড়ুই পাখিও ফসল নষ্ট করে। একবার চীন দেশে এসব প্রাণীকে হত্যার অভিযান শুরু হয়। তারা ভেবেছিল এতে ফসলের উৎপাদন বাড়বে। কিন্তু পরের বছর থেকে ফসল উৎপাদন কমতে শুরু করে। পরে তারা বুঝতে পারে যেসব প্রাণীকে ক্ষতিকর মনে হয়, কিন্তু তারা ক্ষতিকর নয়। প্রকৃতিতে তাদেরও অবদান আছে। চড়ুই পাখি কীটপতঙ্গ খায়। ইঁদুর মাটির উর্বরতা বাড়ায়।
আমাদের ধর্মে সকল প্রাণীর প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে। দেবী মনসার সঙ্গে সাপকেও আমরা শ্রদ্ধা করি। কারণ সাপ আমাদের উপকার করে। সাপ ইঁদুর খায়।
প্রকৃতিতে প্রতিটি সৃষ্টির প্রয়োজন আছে। নইলে ঈশ্বর তা সৃষ্টি করতেন না। একটু চারদিকের জীবদের দিকে তাকিয়ে দেখো। দেখবে প্রত্যেকটি জীব আমাদের কোনো না কোনো উপকারে আসে। একটি জীব আর একটি জীবের ওপর নির্ভরশীল। কোনো একটি জীব বিলুপ্ত হলে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়।
ঘর-বাড়ি তৈরির জন্য জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। বন কাটা হচ্ছে। কৃষি কাজের জন্যও বন উজাড় হচ্ছে। এতে পশু-পাখির বাসস্থান কমে যাচ্ছে। অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে প্রকৃতি বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে।
বন-জঙ্গল কেটে ফেললে বৃষ্টিপাত কমে যায়। ভূমিক্ষয় হয়। সবুজ প্রান্তর পরিণত হয় মরুভূমিতে। গাছের অভাবে দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। এজন্য বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েই চলছে। এতে আমাদের খাদ্য, বাসস্থানের সংকট দেখা দিচ্ছে। তাই প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে পারলে আমাদের অস্তিত্ব সুরক্ষিত হবে।